Covid- 19(কোভিড- ১৯) !! kobita Na Chai ( কবিতা না ছাই )- Zunayed evan|Ashes|
আমি ভেবেছিলাম জীবনে কখনো সুযোগ এলে
একদিন যাব ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমিটি পার্কে
পার্কের গা ঘেসা উঁচু পাহাড় হতে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢলে পড়বে
আগুনের ঝর্না।
এই জীবনে সঞ্চিত ভুলের সমাপ্তি ঘটিয়ে একদিন সন্ধায় তাবু টনাবো
সমুদ্র সৈকতে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন শহরের
ধংসাস্তুপের উপর।
সমুদ্রের নীল পানির উপর ভেসে থাকা ভেনিস শহরের ছোট একটি দ্বীপে ‘ মার্চেন্ট অব ভেনিস’’ হাতে নিয়ে
লিখব এই জমিনের- শেষ কবিতা।
আজও মূর্তির মত দাড়িয়ে আছে
নিরর্থক এক রোমান দেবী
যেখানে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে।
জাহাজে নোঙর ফেলে এক বুক অশান্তি নিয়ে
দেখতে চেয়েছিলাম স্ট্যাচু অফ লিবার্টি !!
আমাকে মনে রাখে নি কেউ, এসব পচনশীল
চিন্তা নিয়ে শিলা বৃষ্টির রাতে মদ্যপ রোমান্টিক কবি
যেভাবে জীবনকে আলিঙ্গন করে
ষাট- সত্তর বছরের ছোট এই জীবনে একটা রাত তাহার সঙ্গি হতে চেয়েছি।
আমি কখনো সমঝোতা করিনি কারো
যশ খ্যাতি কিংবা নতজানু প্রথার কাছে সমঝোতা করিনি আমার পাপের সাথে
যে পাপ আমাকে একদিন সুখী করেছিল।
হয়ত তখনো ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়োসেমিটি পার্কে
উঁচু পাহাড় হতে ঢলে পড়বে আগুনের ঝর্না।
অসংখ্য হোমো স্যাপিয়েন্স প্রানীর মৃত্যুর পর
এক নদীর জল অন্য নদীতে গিয়ে ঠেকে সব আবার শান্ত হবে- একদিন।
শান্ত হবার আগে
লোম্বার্ডির গোরস্থানে জমিন শূন্যতায় পোড়াতে হয়েছে অগণিত লাশ,পাখির মত
তারা চেয়ে ছিল ওপারের তৃষ্ণার জল।
শান্ত হবার আগে
তারা নেড়েছিল হাত দিয়ে জীবন
জীবনের সারকথা;কাউকে না পাওয়া তাদের ক্রদনে-
কেঁপেছিল অক্সিজেন মাস্ক,
আইউসির দেয়াল ঘড়ি
দূরে দাঁড়িয়ে থাকা পাষাণের হৃদয়ে কেঁপে ছিল।
মানুষ বিহীন রোমান ক্যাথলিক গির্জায় ভুতুড়ে সম্রাটেরা সিরাপ পান করে দিয়ে গেছে
নতুন এক সভ্যতা।
রোম যখন আগুনে পুড়েছিল
কথিত আছে, Nero played fiddle while Rome was burning !!
রিভেঞ্জ অব নেচারের হাত ধরে,
নিরোই হল রোমের প্রথম সম্রাট
যাকে মরতে হয়েছে আত্মহত্যা করে।
আজ রোমের খালি রাস্তায়,ক্যাথলিক গির্জায়
একা সাদা কাপড়ে অসহায় পোপ
বাস স্টেশনের পাশে মরে পড়ে থাকা মানুষেরা বোধহয় চলে যাবার আগে
জল চেয়েছিল খেতে; কে জানে !!
আমি কখনো ভাবিনি;
জেনারেলের বুট জুতা আর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন
মিশ্রিত শব্দে ঘুমোতে যাবে কাফন প্রস্তুতকারী
কখনো ভাবি নি দেখতে হবে
অশ্রুসিক্ত দুটো চোখ মুছে দেবার কোন হাত থাকবে না।
আইসিইউর ব্যাডে চোখ বন্ধ হয়ে এলে শেষ চুমোর স্মৃতি কিংবা ডায়েবেটিসে আক্রান্ত বাব
ইনসুলিন নিবে কিনা , ধুলাবালি মিশ্রিত ইটের শহরে
স্কুল খুললে ছোট মেয়েটা কার হাত ধরে পেরোবে রাস্তা
কোন অলৌকিক কল্পনা তাদের চিন্তান্বিতকে ব্যাথা দেয়
আমরা এখান থেকে সেটা বলতে পারব না।
আইসিইউর ব্যাডে চোখ বন্ধ হয়ে এলে বলা হয় নি কখনো এরকম একটা কথা বলবার জন্য উদভ্রান্ত হয়ে নিজেকে আবিষ্কার করা
অক্সিজেন মাস্কের কারাগারে; তারপর হাতের দুর্বল মুঠো
শক্ত করে বালিশ থেকে অর্ধেক হাত মাথা উঠিয়ে
নার্সকে না পেয়ে মাথা ফেলে গোঙানির শব্দে
বিড়বিড় করে কিছু বলে কিনা;
আমরা এখান থেকে সেটা বলতে পারব না।
যখন সব কিছু খুব দ্রুত বদলাতে শুরু করবে
নিকট অতীতকে মনে হবে প্রাগ ঐতিহাসিক
স্মরণকালের সব চাইতে বড় অভিশাপ কিংবা
জ্ঞানের অক্ষমতা; সে যাই বলি না না কেন – নিয়তি কখনো যেতে পারবে না; নিয়তির বাহিরে।
হিমালয়ের উপর দাড়িয়ে মহাকাশ জয় করা
রোবট শতাব্দীতে পদার্পণ করা
বোকা মানুষ গুলো নিত্তপ্রয়োজনীয় আহার মজুদ করে
ইঁদুরের মত গর্তে ঢুকে গেছে !
আদি মানুষের মত সরল পুলকিত মন নিয়ে
চমকে উঠা হকিং এর উত্তরসূরি’রা
মঞ্চের কাছে এসে ক্ষুদিরাম বসের ‘ ফাঁসির দড়িতে মোম কেন দেয়া হয় ‘
প্রশ্নে যেরকম চমকে উঠেছিল জল্লাদ; তেমনটা চমকে উঠেছে সকলে।
লাকড়ির চুলোয় আগুন নিভে গেলে যেরকম
একটা ফু দিয়ে আগুনটাকে বাঁচাবার চেষ্টা করি
বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের অভাব ছিল না তবু
শ্বাসকষ্টে যাদের হৃদপিণ্ড নিভে যায়; তারাও হয়তবা এরকম একটা ফু দিয়ে
দম নিতে চেয়েছিল; কে জানে…
#COVID -19 -ZunaYed Evan
#ZunaYed Evan
#কবিতা না ছাই –ZunaYed Evan
#Corona Virus
#Covid- 19
#Khobita Na Chai
#LYrics: ZunaYed Evan